ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮/০৯/২০২২ ৬:৫১ পিএম

যেকোনও কূটনীতিককে আপ্যায়ন করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাধারণ একটি প্রথা বা রেওয়াজ। আপ্যায়নের মাধ্যমে কূটনীতিক হৃদ্যতার বিষয়টিও বোঝা যায়।

সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তে চলমান ঘটনায় ক্ষুদ্ধ বাংলাদেশ। গত এক মাসের মধ্যে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চার দফা তলব করে প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় রীতিমতো বিরক্ত বাংলাদেশ। তার বহিপ্রকাশই যেন ঘটলো রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চতুর্থবারের মতো ডাকার ঘটনায়।

রবিবার মিয়ানমার অনুবিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক তলব করে দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ের সঙ্গে প্রায় আধা ঘণ্টা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে বৈঠকে রাষ্ট্রদূতকে এককাপ চাও দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, কূটনীতিকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ করা হয়। আপ্যায়ন না করার অর্থ হচ্ছে— বাংলাদেশ এ বিষয়ে চরম অখুশি।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপে বলা হয় যে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে শান্তিপূর্ণ সহায়ক পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু সেখানকার গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা ফেরত যেতে আরও বেশি রাজি হবে না বলে রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়। বৈঠকের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে রাখাইনে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরফলে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মর্টার শেলের গোলা এসে পড়ে। এদিকে গত শনিবার একটি গোলা বাংলাদেশে বিস্ফোরিত হলে একজন নিহত এবং ৬ জন আহত হন

পাঠকের মতামত

ফারুকীকে নিয়ে যে বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যমে দিনভর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ পড়ছেন নির্মাতা মোস্তাফা ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রতিবেশীদের সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক ...